22 Nov 2024, 05:05 pm

‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ ; উন্মোচিত হতে যাচ্ছে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। এতে চট্টগ্রাম মূল শহরের সঙ্গে সাগর ও বিমানবন্দরের দূরত্ব কমে আসবে। বাঁচবে খরচ এবং সময়। অর্থনীতির গতিপথ আরও গতিশীল করতে এ টানেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আগামী শনিবার (২৮ অক্টোবর) দেশের প্রথম এ টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে পরদিন (২৯ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেল উদ্বোধন করার পর আনোয়ারা প্রান্তে ইপিজেড মাঠে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অধীনে এরমধ্যে টানেলের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। যার বর্ণাঢ্য উদ্বোধন হবে আগামী শনিবার।

এসময় সেতুমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম শহরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন করাই এ টানেলটি নির্মাণের অন্যতম কারণ। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলকে আগলে রেখেছে যে কর্ণফুলী তার বুকচির তৈরি করা হয়েছে ৩ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দেশের প্রথম এ সুড়ঙ্গপথ। যার মধ্যে দিয়ে খুলবে বাণিজ্যের বহুমুখী নবদুয়ার। দেশের এ প্রবেশদ্বারে ব্যবসা বাণিজ্যের ভিত্তি আরও মজবুত করতে আলাদা শক্তি জোগাবে নবনির্মিত এ টানেল।

বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে আরও স্থাপন হবে নতুন নতুন শিল্প-কলকারখানা,পরিধি বাড়বে আমদানি রপ্তানির, গতি পাবে অর্থনীতি। সমৃদ্ধির অধিগম্যতায় প্রবেশ করবে চট্টগ্রাম। দেশের জিডিপিতে বার্ষিক শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়াতেও সাহায্য করবে টানেলটি।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৪ অক্টোবর ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকে সাথে নিয়ে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশে সরকারের অর্থ সহায়তা দেয় ৪ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা ও চায়না এক্সিম ব্যাংক থেকে সহায়তা নেওয়া হয় ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা।

সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, টানেল নির্মাণকে ঘিরে চট্টগ্রাম শহরকে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ বা ‘এক নগর দুই শহর’ এর মডেলে গড়ে তোলা হবে।

দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচল করতে পারবে এ পথে। নদীর মধ্যভাগে কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ সড়কটি অবস্থান করবে মাটি থেকে ১৫০ ফুট গভীরে। এর নির্মাণকাজ শেষ করে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)। এই সুড়ঙ্গটি কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করবে। এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম টানেল এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশের দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 9465
  • Total Visits: 1269481
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1668

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ১৯শে জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, বিকাল ৫:০৫

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018